নিহন্তা (সায়েন্স ফিকশন) [পর্ব ১ ও ২]

ফ্যান হিটারের অক্লান্ত ঘড়-ঘড় শব্দ যে এতটা বিরক্তিকর সেটা শাহেদ আগে কখনও উপলব্ধি করে নি। “দ্যা গার্ল হু প্লেইড উইথ ফায়ার”-এর ইংরেজী অনুবাদটা গত আধ ঘণ্টা পড়ার চেষ্টা করছে সে অথচ কিছুতেই মন বসাতে পারছে না। কারণ মূলতঃ দুটো। একটা এই ফ্যান হিটারটা; অন্য আরেকটা কারণ বইটার ওজন। হাতের কাছে একটা স্কেল থাকলে সে এতক্ষণে মেপে ফেলতো। কম করে হলেও সাড়ে তিন ইঞ্চি উঁচু হবে। পাশেই আরেকটা বই রাখা আছে – “দ্যা লস্ট সিম্বল”। এটাও একই আকৃতির। সমস্যাটা কোথায়? এত বড় বড় বই লেখে কেন এরা? মনে মনে “ধুর” বলে সাথে একটা কেশ সমার্থক শব্দ উচ্চারণ করে শাহেদ। তারপর উঠে গিয়ে ফ্যান হিটারটা বন্ধ করে দেয়। Continue reading “নিহন্তা (সায়েন্স ফিকশন) [পর্ব ১ ও ২]”

নিহন্তা (সায়েন্স ফিকশন) [পর্ব ১ ও ২]

তরল – ৩ (শারদদা সিরিজের গল্প)

পরদিন সন্ধ্যায় ইন্সপেক্টার জেমস সহ আমি আবার বসলাম সেই রুমে। সাথে আমার বলে দেয়া সেই চার ব্যাক্তি – অ্যালবার্ট, মার্ক, জেনিফর এবং ড্যানিয়েল। আমি আড় চোখে তাকিয়ে দেখলাম ড্যানিয়েল কেমন যেন ছটফট করছে। মার্ক এবং জেনিফার বেশ শান্ত। রেস্টুরেন্টের মালিক অ্যালবার্টকে কিছুটা দ্বিধান্বিত মনে হলো। আমি এবং জেমস ছাড়া অন্যরা তখনও এই মিটিং-এর বিষয়টা দেখে বেশ অবাকই হচ্ছিল, যদিও আমি জানতাম অন্তত একজন আছে এখানে যে অবাক হচ্ছে না বরং অবাক হবার ভান করছে। Continue reading “তরল – ৩ (শারদদা সিরিজের গল্প)”

তরল – ৩ (শারদদা সিরিজের গল্প)

তরল – ২ (শারদদা সিরিজের গল্প)

পরদিন ইন্সপেক্টার জেমস আমাদের পূর্ব পরিকল্পনা মত অন্যদের থেকে তথ্য সংগ্রহের বাহানায় জেরা করতে আসলো। রেস্টুরেন্টের কর্মচারি রয়েছে তিনজন। একটা মেয়ে, জেনিফার এবং দুটো ছেলে, মার্ক এবং ড্যানিয়েল। জেনিফার জার্মানীর মেয়ে। খুব চুপচাপ প্রকৃতির। কাজে কখনও অবহেলা করতে দেখিনি। যখন যা করতে বলতাম সাথে সাথেই করতো এবং বেশ গুছিয়েই করতো। মার্ক ছিল ঠিক উল্টা। সে স্থানীয় স্কটিশ। সব সময় উঁচু স্বরে কথা বলতো। রেস্টুরেন্টে উল্টাপাল্টা প্রকৃতির কোন ছেলে আসলে মার্কের সাথে লেগে যেত সহজেই। তবে কাজের ক্ষেত্রে সেও বেশ চটপটে এবং কখনও ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করতো না। ড্যানিয়েল একটু অন্য ধরণের ছেলে ছিল। কথা প্রায় বলতই না। কারো সাথে মিশতোও না। আমাদের স্বভাব ছিল আমরা কাজের ফাঁকে মাঝে মাঝে আলোচনার আসর বসাতাম। সেখানে সমাজ, রাজনীতি, ইতিহাস, দর্শন, ধর্ম – সব কিছু নিয়েই আলোচনা হতো। ড্যানিয়েল সাধারনত সে সব আলোচনায় আসতো না। যদিওবা কখনও এসে বসতো, তবে সেটা হয়তো আলোচনা শোনার আগ্রহে না বরং টিভিতে কি সংবাদ হচ্ছে সেটা দেখার জন্য। Continue reading “তরল – ২ (শারদদা সিরিজের গল্প)”

তরল – ২ (শারদদা সিরিজের গল্প)

তরল – ১ (শারদদা সিরিজের গল্প)

“আরে দেখি, দেখি!”

পুরোনো ওষুধের বোতলটা যখন মানিক ফেলতে যাচ্ছিল তখন প্রায় কেড়েই নিলেন শারদদা। তারপর ভালো করে তাকিয়ে দেখলেন কিছু সময়। এরপর হতাশ ভাবে বললেন, “আচ্ছা ফেলেই দাও”।

আজ সকাল থেকে মেসটা পরিষ্কার করছি সবাই। শারদদা খুব একটা কাজ করছেন না, তবে কিভাবে কাজ করতে হয় সে বিষয়ে বিভিন্ন জ্ঞানগর্ভ মন্তব্য ইতিমধ্যে শুনতে শুনতে আমরা অস্থির। অপু একবার নিচু স্বরে বলেছিল বলার থেকে করে দেখানোটা কি শিক্ষার ক্ষেত্রে অধিক উপযোগী নয়? কিন্তু অপুর বলা কথাটার কম্পাঙ্কই হয়তো শারদদার কানের জন্য উপযোগী ছিল না। তাই শুনেও শুনতে পাননি তিনি। তবে শারদদার একনিষ্ঠ ভক্ত ইদ্রিস ঠিকই শুনেছিল এবং সাথে সাথে চটে উঠে অপুকে দু’কথা শুনিয়ে থামিয়েছে। এরপর আর কেউ শারদদাকে কিছু করার ব্যাপারে অনুরোধ করেনি। তিনিও নুতন উদ্যামে উপদেশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এরকম সময় হঠাৎ পুরোনো ওষুধের বোতলগুলো থেকে একটা বড় বোতল যখন মানিক ফেলতে যাচ্ছিল তখনই শারদদা “দেখি দেখি” বলে আর্তনাদ করে উঠলেন। Continue reading “তরল – ১ (শারদদা সিরিজের গল্প)”

তরল – ১ (শারদদা সিরিজের গল্প)