ব্রোকেন হার্ট তরুণ, ফরাসী তরুণীদ্বয় এবং হার্টব্রেকার

একদিনের ঘটনা, হঠাৎ মুভি দেখার ইচ্ছে জাগলো। ব্যাপারটা এমন না যে কালে-ভাদ্রে মুভি দেখি। আগে মাসে কম করে হলেও ২০টা মুভি সিনেমায় গিয়ে দেখা হতো। এখনও সংখ্যাটা দশের মধ্যে আছে। তবে মাঝে কিছুদিন দশ-বছরের-প্রেমিকা-কর্তৃক-ছ্যাক-প্রাপ্ত হইয়া মুভি দেখাই বন্ধ করে দিয়েছিলাম। তারপর মনে হলো আবার মুভি দেখা শুরু করবো। কী আছে জীবনে? ভগ্ন হৃদয় নিয়ে মুখ থুবড়ে ঘরে পড়ে থাকার কোন মানে হয় না। অতঃপর আবার সিনেমামুখী হওয়া।

বক্স অফিসে দাঁড়িয়ে আছি। ঠিক বুঝতে পারছি না কোন মুভি দেখবো। সিনেওয়ার্ল্ড ডাবলিন-এ সতেরটা স্ক্রিনে সারাদিন মুভি চলে। মনেমনে ঠিক করলাম এখন যে মুভিই শুরু হচ্ছে, সেটাই দেখবো। কাউন্টারে উপবিষ্ট হাস্যজ্জল তরুণীকে যে কোন একটা মুভির টিকেট দেয়ার কথা বলায় সে “হার্টব্রেকার” নামের একটা মুভির টিকেট দিল। আহ! মুভির নাম দেখেই বুকের মধ্যে ব্যথা শুরু হলো! মানুষ এখন লং ডিসটেন্স প্রেম করে। আমি রিয়েল প্রেম করে লং ডিসটেন্সে ছ্যাকা খাই। তারপর আমার ভাগ্যে যে মুভি পড়ে সেটার নাম হয় হার্টব্রেকার। পোড়া কপাল একেই বলে।
Continue reading “ব্রোকেন হার্ট তরুণ, ফরাসী তরুণীদ্বয় এবং হার্টব্রেকার”

ব্রোকেন হার্ট তরুণ, ফরাসী তরুণীদ্বয় এবং হার্টব্রেকার

ডাবলিনের ডায়েরী – ১৭ (২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯)

অনেক দিন পর ব্লগে এলাম। ঠিক কত দিন পর মনে নেই। তবে আমার ভিসতা মহাশয় তার ফ্রিকুয়েন্টলি ইউজড এপ্লিকেশন মেন্যূ থেকে ওপেন অফিস রাইটার সরিয়ে দিয়েছিল। তাতেই বুঝলাম বিরতীটা বেশ লম্বাই হয়েছে।

এমনিতেই আমার জীবন রোবটিক। সপ্তাহের পর সপ্তাহ আমি একই কাজ করে যাই। তবুও আমার কাছে এতটা রোবটিক মনে হয়নি যতটা এখন হচ্ছে। এটাকে ঠিক চাপ বলা যায় না। কেননা চাপতো চাপিয়ে দেয়া থেকে আসে। আমার চাপটা নিজের থেকে। সামনে থিসিস সাবমিশন। সেই কাজ নিয়ে এতটাই ব্যাস্ত যে রান্না করাও বন্ধ করে দিয়েছি গত দুই মাস। Continue reading “ডাবলিনের ডায়েরী – ১৭ (২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯)”

ডাবলিনের ডায়েরী – ১৭ (২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯)

ডাবলিনের ডায়েরী – ১৬ (১৯ অগাস্ট ২০০৯)

অনেক দিন ডায়েরী লিখি না। আজ হঠাত মনে হলো কিছু লিখে রাখি। ডায়েরী আমার জন্য এমন এক স্থান যেখানে আমি এলোমেলো অনেক কিছু লিখে ফেলতে পারি। আসলে ডায়েরী লিখতে তেমন পরিকল্পনার প্রয়োজন হয় না। লেখাটা গোছানো হচ্ছে কি হচ্ছে না, লেখার মূল বক্তব্য প্রকাশ পাচ্ছে কি পাচ্ছে না – কোন কিছু নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই। লেখার কাজ, লিখে যাচ্ছি। এই হলো আমার ডায়েরী।

গত কয়েকদিন শরীর ভালো যাচ্ছে না। জ্বর জ্বর লাগছে। ওষুধ খাওয়া হচ্ছে। দেখা যাক বিজয়টা কার হয়, ওষুধ নাকি জ্বরের। না হলে ডাক্তার দেখাতে হবে। আয়ারল্যান্ডে এখন বেশ সোয়াইন ফ্লু এর হাক-ডাক। যতটা না ফ্লু এর কারনে ভয়, তার থেকে বেশি ভয় সরকারের প্রতিশেধক ব্যবস্থার কারনে। ট্রেনে, বাস স্টপেজে, পাবলিক প্লেসে – সব জায়গায় যেভাবে ভয় ধরনো সব বিলডোর্ড লাগানো, পড়লেই আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হবার জোগাড় হয়। আমার আবার এক আজব বাতিক আছে। কোথাও কোন রোগের উপসর্গ দেয়া থাকলে আমি মেলাতে শুরু করি নিজের সাথে। Continue reading “ডাবলিনের ডায়েরী – ১৬ (১৯ অগাস্ট ২০০৯)”

ডাবলিনের ডায়েরী – ১৬ (১৯ অগাস্ট ২০০৯)

ডাবলিনের ডায়েরী – ১৫ (৫ মে ২০০৯)

রাত তিনটার মত বাজে। কিন্তু সেই পুরোনো সমস্যা। ঘুম আসছে না। রুটিন পুরোপুরি এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। জীবন নামের ট্রেনটাকে আবার লাইনে তুলতে যে কত ঝামেলা পোহাতে হবে, খানিকটা বুঝি। তবে সেটা যে কবে, সেটাই কেবল বুঝি না।

সামার আগত কিন্তু প্রকৃতিতে সেটা প্রতিফলিত হচ্ছে না। দিনের বেলা খানিকটা গরম পড়ে বটে, তবে সেটা সামার হিসেবে কতটা গ্রহনযোগ্য সেটা প্রশ্নসাপেক্ষ। তবে হ্যা, তরুনীদের পোশাকের ক্ষুদ্রতা মাঝে মাঝে মনে করিয়ে দেয় যে সত্যিই সামার এসে গিয়েছে। ঠিক এই মূহুর্তে বেশ ঠান্ডা পড়ছে। বঙ্গবাজার থেকে কেনা মোটা ওভারকোট গায়ে দিয়ে বসে বসে ডায়েরী লিখছি। ডায়েরী বলা বোধয় ঠিক হবে না। কেননা আমি যখন কিছু লিখি, সাধারনত একটু ভেবে নেই কি লিখবো। একটা প্রাথমিক খসড়া আমার মাথায় থাকে। কিন্তু আজ কি লিখবো, কিছুই মাথায় নেই। পুরোপুরি ফাকা। বসে বসে ঝিমাতে আর ভালো লাগছিলো না, অতঃপর ডায়েরী নিয়ে বসা। Continue reading “ডাবলিনের ডায়েরী – ১৫ (৫ মে ২০০৯)”

ডাবলিনের ডায়েরী – ১৫ (৫ মে ২০০৯)

ডাবলিনের ডায়েরী – ১৪ (২৯ এপ্রিল ২০০৯)

আনেক রাত এখন। ঘড়ি জানাচ্ছে দুটার উপরে বাজে। চারদিকে এক অদ্ভুত নিরবতা। কেউ জেগে আছে বলে মনে হয় না। জাগার কথাও না। উইকএন্ড হলে একটা কথা ছিল; এরকম সপ্তাহের মাঝে রাত দুপুরে জেগে কারো ডায়েরী লেখার সময় নেই। তাহলে আমার কেন সময় হচ্ছে? সম্ভবত নিয়তী এটাই চাচ্ছে, সেজন্য। আসলে গত একমাস আমি এভাবেই কাটাচ্ছি। অদ্ভুত একটা সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি এখন। অনুভুতিটাকে ঠিক লিখে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। অনেকটা এরকম – কারো চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সে জানে না কোথায় যাচ্ছে, আদৌ কি করা হবে তাকে। মেরে ফেলবে? নাকি বাঁচিয়ে রাখবে। তার ভালোর জন্য নিয়ে যাচ্ছে নাকি কোন অশুভ সংকেত! কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।

গত ২৫ মার্চ এক সাথে ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ড এর তিনটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঋনাত্বক বার্তা পিএইচডি করতে বৃটেন যাওয়ার স্বপ্ন ভেঙ্গে দেয়। হতাশা থেকে নিজেকে খানিকটা গুছিয়ে নেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় আবেদন করার পরিকল্পনা করি। কিন্তু পরবর্তি সেশন ২০১০ সনের অক্টোবরে। Continue reading “ডাবলিনের ডায়েরী – ১৪ (২৯ এপ্রিল ২০০৯)”

ডাবলিনের ডায়েরী – ১৪ (২৯ এপ্রিল ২০০৯)