ডাবলিনের ডায়েরী – দুই (৬ এপ্রিল ২০০৮)

মেজাজ খুব খারাপ। আমি একবার ওভারকোট খুলছি আবার পড়ছি। বাসায় আছি বলে রক্ষা, বাহিরে গেলে যন্ত্রনাটা পীড়ার পর্যায়ে অনুভুত হয়। রহস্য না করে খুলে বলছি। পরশুদিন ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস গরম। আমি টি-শার্ট এর উপর শার্ট তার উপর সোয়েটার এবং তার উপর ওভারকোট পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলাম। ফলাফল অতি জঘন্য। এক সময় আমি অনুভব করলাম রিতিমত আমার শরীরে পিপড়ার মত কিছু দৌড়াচ্ছে! আমার বুঝতে অসুবিধা হলো না আমার সামনের টেবিলে বসা জেনি বেচারী কেন তার উর্ধাঙ্গের প্রায় সব কাপড় খুলে ফেলেছে। আমিও শুরু করলাম। প্রথমে জুতা, তার পর মুজা তার পর একে একে ওভারকোট, সোয়েটোর এবং শার্টের সব বোতাম। তবুও গরম লাগছে। কি বিপদ! শেষ পর্যন্ত তিনটার সময় বাসায় চলে আসলাম। বাসে উঠে দেখি আমার সামনে একটা ছেলে বসেছে। সে পারলে বাসের জানালা ভেঙ্গে ফেলে, এত গরম। একটা বেশ নাদুশ-নুদুশ মেয়ে উঠেছিল। তার মুখে লাল লাল ছোপ পড়ে গিয়েছিল ডাবলিনের অসহনীয় গরমে। Continue reading “ডাবলিনের ডায়েরী – দুই (৬ এপ্রিল ২০০৮)”

ডাবলিনের ডায়েরী – দুই (৬ এপ্রিল ২০০৮)