নববর্ষের প্রথম প্রহরে যখন পাহাড়ের ঢাল ঘেসে সূর্যের আলো এসে চোখের ‘পরে পড়লো, তখন এই হাজার মাইল দূরের নির্জন দ্বীপ দেশটিকেও কেন যেন আমার বাংলা মায়ের মতই লাগছিল। কিন্তু খানিক পরেই ব্যাস্ত নগরীর চিরায়িত কোলাহল আমাকে কেবলই দূরে নিয়ে যেতে শুরু করলো। বোধ্য এবং দূর্বোধ্য ভাষার মিশ্র কথোপোকথন আর বিদ্যুতের মত ব্যাস্ত জীবন নববর্ষের শেষ আবেগটুকুও নিংড়ে নিতে সময় নেয়নি। পুনঃপ্রবেশের ভিসা নেয়ার জন্য আমি যখন দৌড়াচ্ছিলাম ভিসা অফিস আর ব্যাঙ্কের পথে পথে, তখন বুঝি আমার প্রিয় বাংলায় আমারই স্বজনেরা ইলিশের সাথে শখের পান্তা মিশিয়ে এই বিশেষ দিনটিকে আপন করে নিচ্ছিল। দুপুর বেলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেতে চাউমিন আর থাই চিকেনের লাঞ্চ মেনুটাকে দেখতে দেখতে হাসছিলাম। শেষ বেলায় এই কি তবে পান্তা ইলিশের বিকল্প! Continue reading “বাংলা নববর্ষ ১৪১৫”