চ্যাম্পিয়ান্স লিগ উন্মাদনা – ১

আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে উয়েফা চ্যাম্পিয়ান্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল রাউন্ড। হোম এন্ড এ্যাওয়ে পদ্ধতিতে প্রতিটা দল প্রত্যেকের সাথে দুটো করে ম্যাচ খেলবে কোয়ার্টার ফাইনাল এবং সেমিফাইনালে। তবে আগামী ২২ মে ২০১০এ রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফাইনালটা হবে সিঙ্গেল লেগের। এই লেখায় কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে দলগুলোর সম্ভাব্য অবস্থান এবং শক্তি নিয়ে একটা পর্যালোচনা করার চেষ্টা করবো।

এবারের চ্যাম্পিয়ান্স লিগে বড় দুটো “আপসেট” হচ্ছে কোয়ার্টার ফাইনালের আগেই রিয়াল মাদ্রিদ এবং চেলসির বিদায়। রিয়াল মাদ্রিদ এবার স্বপ্ন দেখছিল এক অন্য রকম ফাইনালের। তাদের নিজেদের মাঠেই যেহেতু ফাইনাল হতে যাচ্ছে, তাই সেই ফাইনালে খেলতে পারাটা তাদের জন্য হতো অসাধারণ এক অর্জন। রেকর্ড ট্রান্সফার ফি দিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে রোনাল্ডো এবং এসি মিলান থেকে কাকাকে দলে ভিড়িয়ে সেই সম্ভাবনাকে তারা শক্তিশালীও করেছিল যথেষ্ট। Continue reading “চ্যাম্পিয়ান্স লিগ উন্মাদনা – ১”

চ্যাম্পিয়ান্স লিগ উন্মাদনা – ১

আটলান্টিকের পাড়ে কিছু ইলিপটিকাল উন্মাদনা (২য়/শেষ পর্ব)

২১ মার্চ সকাল থেকে প্রস্তুতি নিতে শুরু করলাম। ইচ্ছে ছিল রাগবীর নিয়মকানুনের উপর লেখাটা শেষ করে পোস্ট করে যাবো। কিছুটা সময় লেখার চেষ্টাও করলাম। কিন্তু কিছুতেই লেখাটা এগুচ্ছিল না। ভাবলাম পরে শেষ করবো। ওদিকে সময় কেটে যাচ্ছে; শনিবার হওয়াতে বাস পাওয়াও কিছুটা কঠিন। প্রায় ঘন্টায় একটা বাস। দ্রুত ধ্রুবকে ফোন দিয়ে জানালাম আমি সুপারম্যাকে থাকবো, নাফিস সহ চলে আসতে। তারপর শাওয়ার নিয়ে, হালকা কিছু খেয়েই বের হয়ে পড়লাম। যথারীতি একটা বাস মিস করলাম; আরেকটা দৌড়ে গিয়ে ধরে সিটি সেন্টারে যখন পৌছাই তখন ঘড়িতে সাড়ে চারটার বেশি বাজে। Continue reading “আটলান্টিকের পাড়ে কিছু ইলিপটিকাল উন্মাদনা (২য়/শেষ পর্ব)”

আটলান্টিকের পাড়ে কিছু ইলিপটিকাল উন্মাদনা (২য়/শেষ পর্ব)

আটলান্টিকের পাড়ে কিছু ইলিপটিকাল উন্মাদনা (১ম পর্ব)

আটলান্টিকের পাড়ে দাড়ানো ইউরোপের এক দ্বীপদেশ আয়ারল্যান্ড। এদেশে আসার পর এ জাতির রাগবীর প্রতি বাড়াবাড়ি রকমের ভালোবাসা আমাকেও ধীরেধীরে নাড়া দেয়। উঠতে বসতে, রাস্তাঘাটে, বাসে-প্রান্তরে এদের রাগবী প্রীতি বেশ দারুন লাগে। উপবৃত্তাকার তথা ইলিপটিকাল শেইপের একটা বল যে কত উন্মাদনার সৃষ্ট করতে পারে, সেটা এখানে না আসলে হয়তো জানা হতো না। ছোট ছোট বাচ্চাদের টি-শার্টে লেখা দেখেছি – “টু ইয়াং, কান্ট প্লে রাগবী ইয়েট!”। একদিন বড় হলে তারাও খেলবে, সেটারই যেন আগাম হুমকি। গিফট শপগুলোতে গেলে দেখা যায় দুটো জিনিসের খুব চল – ক্যালটিক মিউজিক/প্রোডাক্ট আর রাগবী সংক্রান্ত পোশাক। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাগবী ক্লাব হচ্ছে এখনও বর্তমান এমন ক্লাবগুলোর মধ্যে পৃথিবীর যেকোন ধরনের ফুটবলের সর্বপ্রাচীন ক্লাব। মাঝে মাঝে ওদের প্র্যাকটিস দেখি। তিব্র শীতে যখন কাঁপতে থাকি, তখন ওরা টি-শার্ট আর শর্টস পরে বৃষ্টির মধ্যে দৌড়ায়! রাগবী যেন এদের কাছে অন্যরকম অনুভুতি, আর যারা খেলে তারাতো রীতিমত একেকটা অমানুষ! Continue reading “আটলান্টিকের পাড়ে কিছু ইলিপটিকাল উন্মাদনা (১ম পর্ব)”

আটলান্টিকের পাড়ে কিছু ইলিপটিকাল উন্মাদনা (১ম পর্ব)

রাগবী খেলার ইতিহাস

গত বছরের মাঝামাঝি রাগবী নিয়ে বেশ কিছু লেখা দিয়েছিলাম ব্লগে। অনেকেই তখন খেলার নিয়ম-কানুন জানতে চেয়ে ছিলেন। হয়তো নিয়ম না জানার কারনে অনেকে লেখাগুলো দেখেও আর পড়েননি। তাই আজ ভাবলাম ইতিহাস, নিয়ম-কানুন এবং বিভিন্ন প্রতিযোগীতা নিয়ে রাগবীর উপর একটা সিরিজ করবো। উল্লেখ্য যে, এই সিরিজে রাগবী বলতে রাগবী ইউনিয়নকে বোঝানো হবে। পরবর্তিতে রাগবী লীগের সাথে রাগবী উইনিয়নের পার্থক্যও দেখানো হবে। এছাড়া রাগবীর অন্য যে দুটো ফর্ম রয়েছে অর্থাৎ অ্যামেরিকান ফুটবল এবং ক্যানাডিয়ান ফুটবল – সেগুলো এই আলোচনার সম্পূর্ন বাহিরে থাকবে।

রাগবী সম্পর্কে আমাদের একটা বদ্ধমূল ধারনা হলো এটা মারামারির খেলা। আসলে কিন্তু তা নয়। নিয়মগুলো জানা থাকলে রাগবী ফুটবল, এ্যাসোসিয়েশন ফুটবল (আমরা যেটাকে ফুটবল বলি) থেকে কোন অংশে কম উপভোগ্য নয়। তাছাড়া রাগবীর সাথে এ্যাসোসিয়েশন ফুটবলের রয়েছে সুগভীর সম্পর্ক। যেহেতু আমরা ফুটবল পাগল, তাই আমার বিশ্বাস রাগবীও সবার ভালো লাগবে। Continue reading “রাগবী খেলার ইতিহাস”

রাগবী খেলার ইতিহাস