ঘন্টাখানেক আগে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন মানি ট্রান্সফারের এ্যান-পোস্ট ব্রাঞ্চে গিয়েছিলাম। আয়ারল্যান্ড এসেছি ছয় মাসের উপরে। দেশে কখনও টাকা পাঠাইনি। তাই ভাবলাম একটা ভালো এ্যামাউন্ট আম্মুর জন্য পাঠাবো। সে জন্যই যাওয়া।
কাউন্টারে বসা ভদ্রলোকের বয়স চল্লিশের কোঠায় হবে। শক্ত চোয়াল, উজ্জল চোখ। তারুন্য পেরিয়ে এলেও, সেই তেজ তার চোখে-মুখে তখনও ছিল। ফর্মটা ফিল-আপ করে জমা দেয়ার পর অন্য কোন কথায় না গিয়ে সরাসরি প্রথম প্রশ্ন করলেন, “ইস্ট পাকিস্থান ছিলে তোমরা, তাই না?”
এ প্রশ্নটা আমার কখনই ভালো লাগে না। তাই কোন কথা বললাম না। আমার নিরবতায় ভদ্রলোক একটু হাসলেন। তার পর বললেন, “একাত্তরের আগে। একাত্তরের সেই দুঃসাহসী যুদ্ধের পর তোমরা জন্ম দিয়েছিলে বাংলাদেশ।” দুঃসাহসী শব্দটা বলার সময় হাতের মুঠোটা শক্ত করে উপরে তুলে এনেছিলেন। চোয়াল যেন আরো শক্ত হয়ে গিয়েছিল। বলার মাঝে ছিল একটা সম্ভ্রম। Continue reading “আমাদের স্বাধীনতা আমাদের গর্ব”