আমাদের স্বাধীনতা আমাদের গর্ব

ঘন্টাখানেক আগে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন মানি ট্রান্সফারের এ্যান-পোস্ট ব্রাঞ্চে গিয়েছিলাম। আয়ারল্যান্ড এসেছি ছয় মাসের উপরে। দেশে কখনও টাকা পাঠাইনি। তাই ভাবলাম একটা ভালো এ্যামাউন্ট আম্মুর জন্য পাঠাবো। সে জন্যই যাওয়া।

কাউন্টারে বসা ভদ্রলোকের বয়স চল্লিশের কোঠায় হবে। শক্ত চোয়াল, উজ্জল চোখ। তারুন্য পেরিয়ে এলেও, সেই তেজ তার চোখে-মুখে তখনও ছিল। ফর্মটা ফিল-আপ করে জমা দেয়ার পর অন্য কোন কথায় না গিয়ে সরাসরি প্রথম প্রশ্ন করলেন, “ইস্ট পাকিস্থান ছিলে তোমরা, তাই না?”

এ প্রশ্নটা আমার কখনই ভালো লাগে না। তাই কোন কথা বললাম না। আমার নিরবতায় ভদ্রলোক একটু হাসলেন। তার পর বললেন, “একাত্তরের আগে। একাত্তরের সেই দুঃসাহসী যুদ্ধের পর তোমরা জন্ম দিয়েছিলে বাংলাদেশ।” দুঃসাহসী শব্দটা বলার সময় হাতের মুঠোটা শক্ত করে উপরে তুলে এনেছিলেন। চোয়াল যেন আরো শক্ত হয়ে গিয়েছিল। বলার মাঝে ছিল একটা সম্ভ্রম। Continue reading “আমাদের স্বাধীনতা আমাদের গর্ব”

আমাদের স্বাধীনতা আমাদের গর্ব

ইফ ইউ ডোন্ট গেট ইট, ইউ ওন্ট গেট ইট!!!

আয়ারল্যান্ডে যখন প্রথম আসি, তখন থাকতাম ক্লনটার্ফের সমুদ্র সৈকতের পাশে। অনিদ্য সুন্দর সমুদ্রের দৃশ্য দেখে যেন ঘুম ভাঙতো, আবার ঘুমাতে যেতাম। যাই হোক, এই ব্লগের মূল প্রসঙ্গ আয়ারল্যান্ডের প্রকৃতিক সৌন্দর্য নয়, বরং কিছু অসুন্দর কথা!

আমার সেই ক্লনটার্ফের বাসায় যেতে পথে দুবার ডার্ট (আয়ারল্যান্ডের স্কাই ট্রেন) ক্রসিং ছিল। যেহেতু স্কাই ট্রেন, ওভার ব্রিজের মত করে গাড়ির রাস্তার উপর দিয়ে চলে যেত। ফলে বিজ্ঞাপন দেয়ার একটা চমৎকার ক্ষেত্র সৃস্টি হতো। ভোডা ফোন বা ও-টু মোবাইল কোম্পানীই প্রায় এধরনের বিজ্ঞাপনের স্থানগুলো পাল্লা দিয়ে দখল করে রাখে। তবে ব্যতিক্রম যে হয় না, তা নয়। যেমন ইভনিং হ্যারাল্ড (এখানকার একটা দৈনিক)-এর একটা বিজ্ঞাপন। তাতে লেখা, Evening Herald – If you don’t get it, you wont get it! Continue reading “ইফ ইউ ডোন্ট গেট ইট, ইউ ওন্ট গেট ইট!!!”

ইফ ইউ ডোন্ট গেট ইট, ইউ ওন্ট গেট ইট!!!

একটি আইরিশ মিছিল এবং আমার ভাবনা

দিনটি ছিল সম্ভবত গত ইস্টারের রবিবার। ছুটির দম বন্ধ করা আবহাওয়া থেকে একটু মুক্তি পেতে নগরকেন্দ্র তথা সিটি সেন্টারে গিয়েছিলাম ঘুরতে। বলে রাখা ভালো, আমার বিশ্ববিদ্যালয় একদম নগরকেন্দ্রের মাঝে অবস্থিত। অতএব এখানে আমি নয়টা – পাঁচটা এমনিতেই থাকি। তবুও সেদিনটি ব্যতিক্রম অথবা বিশেষ হবার কারন ছিল একটানা এক ঘেয়ে ছুটি যা আমি বাসায় বসে বসে পার করছিলাম। যাইহোক, নগরকেন্দ্রে কোন সুনির্দিষ্ট কাজ না থাকায় আমি এলোমেলো হাটছিলাম। ডাবলিনে আসার পর এটা আমার এক নুতন বাতিক হয়েছে। কোন কাজ ছাড়াই আমি অচেনা পথে মাইলের পর মাইল হেটে বেড়াই। সেদিনও শুরু করলাম মাত্র, কিন্তু ও’কনেল স্ট্রিট এসে আমাকে থমকে দাড়াতে হলো। Continue reading “একটি আইরিশ মিছিল এবং আমার ভাবনা”

একটি আইরিশ মিছিল এবং আমার ভাবনা

বাংলা আমার অহংকার

দেশে দেশে এবং যুগে যুগে আনেক যুদ্ধ হয়েছে – জাতিতে, ধর্মে এবং বর্নে। কিন্তু ভাষার জন্য প্রাণ দেয়া, বুকের রক্ত দিয়ে মায়ের ভাষাকে প্রতিষ্ঠা করা, সম্ভবত বাংলাই একমাত্র উদাহরন। এ যে শুধু ভাষা নয়, এ আমার অহংকার, আমার গর্ব। প্রবাসে যখন মানুষকে ইতিহাস বলি, তারা মুগ্ধ হয়ে শোনে, যেন কোন রুপকথা! আর অবাক হয়ে বলে “এও কি সম্ভব”! কষ্ট লাগে যখন দেখি আমার দেশেরই কিছু মানুষ বোঝে না, কিম্বা বুঝেও না বোঝার ভান করে। মূর্খদের জন্য দেয়ার মত সময় আমার নেই, তাই তাদের হতভাগা বিবেকগুলোর জন্য রইলো কেবল শুভকামনা। Continue reading “বাংলা আমার অহংকার”

বাংলা আমার অহংকার