বিবর্ণ সভ্যতা

সোয়াইন ফ্লু এর তিনটা উপসর্গের উপস্থিতি নিয়ে লিখতে বসেছি। জ্বর, কাশি এবং প্রচন্ড শরীর ব্যাথা। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশি সময় থাকতে পারলাম না। সুপারভাইজার থিসিসের ডিজাইন চাপ্টার শেষ করে আজকে তার কাছে জমা দিতে বলেছিল। টলতে টলতে গিয়ে বললাম সম্ভব নয়। আমার দিকে তাকিয়ে সে দ্রুত বললো, “দরকার নাই। আগে সুস্থ হও”। ওষুধ কিনে এনেছি। দুইদিন খেয়ে দেখি। না হলে টেস্ট করাতে যাবো বুধবার। আয়ারল্যান্ডে সোয়াইন ফ্লু প্রচন্ড ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। রিস্ক নেয়া ঠিক হবে না মনে হচ্ছে। যাইহোক, ভূমিকা প্রয়োজনের তুলনায় বেশিই হয়ে গেলো। এবার আসল কথায় আসি। এই লেখাটা মাথার মধ্যে ঘুরঘুর করছে কাল থেকে। আমার মাথায় একবার কিছু ঢুকলে সেটা যন্ত্রনা দিতে শুরু করে। বের না হওয়া পর্যন্ত পোকার মত শব্দ করে অস্থির করে তোলে। অতএব জ্বর নিয়েও লিখতে বসলাম। এই পোকা মাথা থেকে বের করা দরকার। Continue reading “বিবর্ণ সভ্যতা”

বিবর্ণ সভ্যতা

দ্যা লাস্ট লেকচার

র‌্যান্ডি পাউশ ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য কার্নেগী ম্যালন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানের প্রফেসার। একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী হিসেবে তার যশ ছিল বিভিন্ন দিকে বিশেষত হিউম্যান-কম্পিউটার ইন্টারেকশনে। ছোট ছোট তিন সন্তানের একজন তরুন বাবা, একজন প্রেমময়ী স্বামী অথবা হাস্যজ্জ্বল একজন মানুষ – সব দিক দিয়েই ছিল তার সুখ্যাতি। শুধু অভাব ছিল একটা বিষয়ের – সময়ের। যাইহোক, এই ব্লগ পোস্টের মূল উদ্দেশ্য তার গবেষনার বিষয় বা পারিবারিক জীবন নয়, বরং তার সংক্ষিপ্ত জীবনের শেষ লেকচার যা ইতিহাসে দ্যা লাস্ট লেকচার হিসেবে সমাদৃত হবে যুগযুগ ধরে।

দ্যা লাস্ট লেকচার – এর একটা প্রেক্ষাপট রয়েছে। ২০০৬ সনের অগাষ্ট মাসে পাউশের লিভারে প্রথম ক্যানসার ধরা পড়ে। দ্রুত চিকিৎসা নেয়া হলেও সে ক্যানসারকে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হয়নি। বিশ্বের সেরা ডাক্তারদের সমন্বয়ে গড়া দল প্রায় এক বছর চেষ্টার পর ২০০৭ এর অগাস্টে জানায় তার লিভার প্রায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে এবং ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ছে অন্য অঙ্গেও। ডাক্তাররা এটাও তাকে জানিয়ে দেয় তার কর্মক্ষম জীবনের আর মাত্র ছয় মাস বাকি রয়েছে। Continue reading “দ্যা লাস্ট লেকচার”

দ্যা লাস্ট লেকচার