নিহন্তা (সায়েন্স ফিকশন) [পর্ব ১ ও ২]

ফ্যান হিটারের অক্লান্ত ঘড়-ঘড় শব্দ যে এতটা বিরক্তিকর সেটা শাহেদ আগে কখনও উপলব্ধি করে নি। “দ্যা গার্ল হু প্লেইড উইথ ফায়ার”-এর ইংরেজী অনুবাদটা গত আধ ঘণ্টা পড়ার চেষ্টা করছে সে অথচ কিছুতেই মন বসাতে পারছে না। কারণ মূলতঃ দুটো। একটা এই ফ্যান হিটারটা; অন্য আরেকটা কারণ বইটার ওজন। হাতের কাছে একটা স্কেল থাকলে সে এতক্ষণে মেপে ফেলতো। কম করে হলেও সাড়ে তিন ইঞ্চি উঁচু হবে। পাশেই আরেকটা বই রাখা আছে – “দ্যা লস্ট সিম্বল”। এটাও একই আকৃতির। সমস্যাটা কোথায়? এত বড় বড় বই লেখে কেন এরা? মনে মনে “ধুর” বলে সাথে একটা কেশ সমার্থক শব্দ উচ্চারণ করে শাহেদ। তারপর উঠে গিয়ে ফ্যান হিটারটা বন্ধ করে দেয়। Continue reading “নিহন্তা (সায়েন্স ফিকশন) [পর্ব ১ ও ২]”

নিহন্তা (সায়েন্স ফিকশন) [পর্ব ১ ও ২]

দ্বীপান্তরী নাবিকের আর্তনাদ

একটা ঝড়ের রাতে সমুদ্রে চলমান নৌকা

আটলান্টিকের পাড়ে শীতের রাতগুলো
ঝুপ করে নেমে আসে; কালো কুয়াশার চাদরে
আপাদমস্তক ঢেকে যেন কোন ফেরারী আসামী।
তারপর একটু একটু করে গভীর থেকে গভীরতর হতে হতে
গ্রাস করে নিতে থাকে মহাকালের বুক থেকে
ঝরে যাওয়া একেকটি দিন। Continue reading “দ্বীপান্তরী নাবিকের আর্তনাদ”

দ্বীপান্তরী নাবিকের আর্তনাদ

ব্রোকেন হার্ট তরুণ, ফরাসী তরুণীদ্বয় এবং হার্টব্রেকার

একদিনের ঘটনা, হঠাৎ মুভি দেখার ইচ্ছে জাগলো। ব্যাপারটা এমন না যে কালে-ভাদ্রে মুভি দেখি। আগে মাসে কম করে হলেও ২০টা মুভি সিনেমায় গিয়ে দেখা হতো। এখনও সংখ্যাটা দশের মধ্যে আছে। তবে মাঝে কিছুদিন দশ-বছরের-প্রেমিকা-কর্তৃক-ছ্যাক-প্রাপ্ত হইয়া মুভি দেখাই বন্ধ করে দিয়েছিলাম। তারপর মনে হলো আবার মুভি দেখা শুরু করবো। কী আছে জীবনে? ভগ্ন হৃদয় নিয়ে মুখ থুবড়ে ঘরে পড়ে থাকার কোন মানে হয় না। অতঃপর আবার সিনেমামুখী হওয়া।

বক্স অফিসে দাঁড়িয়ে আছি। ঠিক বুঝতে পারছি না কোন মুভি দেখবো। সিনেওয়ার্ল্ড ডাবলিন-এ সতেরটা স্ক্রিনে সারাদিন মুভি চলে। মনেমনে ঠিক করলাম এখন যে মুভিই শুরু হচ্ছে, সেটাই দেখবো। কাউন্টারে উপবিষ্ট হাস্যজ্জল তরুণীকে যে কোন একটা মুভির টিকেট দেয়ার কথা বলায় সে “হার্টব্রেকার” নামের একটা মুভির টিকেট দিল। আহ! মুভির নাম দেখেই বুকের মধ্যে ব্যথা শুরু হলো! মানুষ এখন লং ডিসটেন্স প্রেম করে। আমি রিয়েল প্রেম করে লং ডিসটেন্সে ছ্যাকা খাই। তারপর আমার ভাগ্যে যে মুভি পড়ে সেটার নাম হয় হার্টব্রেকার। পোড়া কপাল একেই বলে।
Continue reading “ব্রোকেন হার্ট তরুণ, ফরাসী তরুণীদ্বয় এবং হার্টব্রেকার”

ব্রোকেন হার্ট তরুণ, ফরাসী তরুণীদ্বয় এবং হার্টব্রেকার

লোহিত শয়তানের একদিন

১.
“বিয়াপক খ্রাপ” সময় যাচ্ছে আমাদের, অর্থাৎ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অন্ধ ভক্তদের। অথচ গত মাসের এই সময়টাই কী মধুর ছিল। ঐতিহাসিক তত্ত্বের ধ্বজাধারী তথা যারা বলেছিল ম্যানইউ কোন দিন এসি মিলানকে চ্যাম্পিয়ান্স লিগে হারাতে পারে নি এবং এবারও পারবে না, তাদের মুখে চুন-কালি মাখিয়ে ৭-২ গোলে জিতে নিয়েছিল প্রথম নক আউট রাউন্ড। তার কিছুদিন পরই চেলসিকে টপকে লিগের শীর্ষস্থানটাও পাকাপোক্ত করে নিয়েছিল। ফেইসবুকে তখন স্ট্যাটাস দিতাম ঘণ্টায় ঘণ্টায়। সাথে সাথে তীব্র সব মন্তব্যও পড়তো। বুঝতাম, উই আঢ় অন ফায়াঢ়! বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখেছি, যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যত সফল তার তত বেশী সমালোচনা হয়। যেখানে সিটির কাছে গো-হারা হেরেও চেলসির সমর্থকরা বিবাদে যায় না, সেখানে ম্যানইউর ফ্যানদের স্ট্যাটাসে হুঙ্কার শুনলে “পেন্টুলুন খুলিয়া লাফাইয়া পড়ি” অবস্থা হয় তাদের। কারণ আর কিছুই না। উই আঢ় অন ফায়াঢ়! Continue reading “লোহিত শয়তানের একদিন”

লোহিত শয়তানের একদিন

১০ এপ্রিলের সকালে যে দুর্ঘটনা স্তব্ধ করে দিল সারা বিশ্বকে

আজ ১০ এপ্রিল ইউরোপের সকালটা ছিল অন্য আর দশটা দিনের মতই। খুব চুপচাপ, নিরিবিলি। উইকএন্ড থাকায় অনেকেই একটু বেলা করে ঘুম থেকে উঠেছেন। তারপর সকালে যখন টিভিতে বা ইন্টারনেটে সংবাদের দিকে তাকান তখন সবাই শোকে বিমূঢ় হয়ে পড়েন। এমন একটা সংবাদ যা মুহূর্তে স্তব্ধ করে দেয় সবাইকে।

আজ সকালে গ্রিনিজ মান সময় প্রায় সাতটার সময় রাশিয়ায় প্লেন ক্র্যাশে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট, ফার্স্ট লেডি, একজন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, সিনেটের ডেপুটি স্পিকার, সংসদের ডেপুটি স্পিকার, সেনাবাহিনীর প্রধান, নৌবাহিনীর প্রধান, বিমানবাহিনীর প্রধান, ন্যাশনাল সিকিউরিটি বুরোর প্রধান, পররাষ্ট্র মন্ত্রী, সংস্কৃতি মন্ত্রী, জাতীয় ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট সহ বেশ কয়েকজন জাতীয় সংস্থার প্রধান এবং ১৫২০ জন সংসদ সদস্য সহ ৮৮ জন রাজনৈতিক এবং গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। Continue reading “১০ এপ্রিলের সকালে যে দুর্ঘটনা স্তব্ধ করে দিল সারা বিশ্বকে”

১০ এপ্রিলের সকালে যে দুর্ঘটনা স্তব্ধ করে দিল সারা বিশ্বকে